কক্সবাজার শহর থেকে জেলাটির সব দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায়
কক্সবাজার, জাতীয়, ট্যুরিজম, দর্শনীয় স্থান, দর্শনীয় স্থান, ফিচার নিউজ, স্পেশাল ফিচার / By Sohag
ট্রাভেল বাংলাদেশ স্পেশাল
দেশের সর্বদক্ষিণের এই জেলাটি দর্শনার্থীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়
কক্সবাজারে একসময় হলুদ ফুলের বেশ ছিল। হলুদ ফুলের সাথে সমুদ্র সৈকত, সব মিলিয়ে স্থানটির সৌন্দর্য যেন আগে থেকেই অনেক বলা যায়। বিভিন্ন কারণে এখন হলুদ ফুলের দেখা না মিললেও কক্সবাজারেই দেখা মিলবে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের।
 কক্সবাজার। ছবি : সংগৃহীত
এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা দেশ বিদেশের বহু পর্যটককে প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে। সেই ধারাবাহিকতায় চলুন জেনে নেই কক্সবাজারের শহর থেকে জেলাটির সেখানের দর্শনীয় স্থানে কীভাবে যাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে। লিস্টের সাথে বিস্তারিত লেখাটির লিংক পাবেন অথবা নামের ওপর ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন বিস্তারিত তথ্য।
বার্মিজ মার্কেট :
কক্সবাজার সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ঐতিহ্যবাহী এই বার্মিজ মার্কেটের অবস্থান। রিকশা, অটোরিকশা, থ্রি হুইলারসহ যেকোনো স্থানীয় যানবাহন দ্বারা এই মার্কেটে পৌঁছাতে পারবেন।
রামুর ভুবন শান্তি ১০০ সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধমূর্তির বিহার :
রামুতে অবস্থিত ‘ভুবন শান্তি ১০০ সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধমূর্তি‘। কক্সবাজার থেকে ট্যাক্সি, থ্রি হুইলার বা টমটমে করে এই বৌদ্ধবিহারটিতে যেতে পারবেন।
বেদনা বিধুর মাথিনের কূপ, টেকনাফ :
ঐতিহাসিক এই মাথিনের কূপটি কক্সবাজার ভ্রমণে অবশ্যই দেখা উচিত। টেকনাফ থানার কম্পাউন্ডে এই কূপটির অবস্থান। কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী বাস, মাইক্রো বা জীপে করে টেকনাফ পৌঁছে এরপর হেটে বা রিকশায় করে এখানে যেতে পারবেন।
 

ছবি : প্রকৃতির রাজ্য
আদিনাথ মন্দির :
মহেশখালীতে এই আদিনাথ মন্দির অবস্থিত। কক্সবাজারের বাহারছড়া ঘাঁট থেকে মহেশখালীগামী স্পিডবোট বা ট্রলার পাবেন।
লাবনী পয়েন্ট :
লাবনী পয়েন্ট পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কক্সবাজার শহর থেকে এটি খুবই কাছে। অটোরিকশা বা রিকশায় করে শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে লাবনী পয়েন্টে যেতে পারবেন।
সুগন্ধা বিচ :
কক্সবাজার যেকোনো প্রান্ত থেকে রিক্সা বা অটোরিকশায় করে সুগন্ধা বিচে পৌঁছাতে পারবেন।
 চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ছবি : সংগৃহীত
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য :
কক্সবাজার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত এই চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। অটোরিকশা বা থ্রি হুইলারে করে এই চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে যেতে পারবেন।
দ্বীপ সোনাদিয়া :
কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এই সোনাদিয়া দ্বীপের অবস্থান। কক্সবাজারের ৬ নং ঘাঁট থেকে প্রথমে মহেশখালী যেতে হবে আপনাকে। এরপর সেখান থেকে অটোতে অরে ঘটিভাঙ্গা। ঘটিভাঙ্গা থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে সোনাদিয়া দ্বীপে যেতে পারবেন।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক। ছবি : সংগৃহীত
ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক :
চকোরিয়া উপজেলায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে সিএনজি, মাইক্রো কিংবা লোকাল বাসে এই ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।
গেম রিজার্ভ ফরেস্ট :
গেম রিজার্ভ ফরেস্ট টেকনাফের ধমধমিয়া এলাকায় মুছনী গ্রামে অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী বাস বা মাইক্রোবাসে করে হোয়াইখিয়ং বাজারে এসে গেম রিজার্ভ ফরেস্টে যেতে পারবেন।
 কুদুম গুহা, কক্সবাজার,

 ছবি : সংগৃহীত
কুদুম গুহা :
বাংলাদেশের একমাত্র বালু-মাটির গুহা এই কুদুম গুহা। এটি টেকনাফের ধমধমিয়া এলাকায় মুছনী গ্রামে অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী বাস বা মাইক্রোবাসে করে হোয়াইখিয়ং বাজারে এসে এরপর শাপলাপুর অভিমুখে ৪ কিলোমিটার যাবার পর বাম দিকে পাহাড়ি ঝিরিপথে ২ কিলোমিটার অগ্রসর হলে এই গুহায় পৌঁছাতে পারবেন।
 কুতুবদিয়া দ্বীপের বাতিঘর। ছবি : উইকিমিডিয়া কমন্স
কুতুবদিয়া দ্বীপের ঐতিহাসিক বাতিঘর :
দারুণ সৌন্দর্যের কুতুবদিয়া দ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে বাতিঘর বা লাইট হাউজ। কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্র সৈকতের উত্তরদিকে এটি অবস্থিত। কক্সবাজারের বড়ইতলি মোড় থেকে সিএনজিতে করে মাগনামা ঘাটে যেতে হবে প্রথমে। মাগনামা ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকা বা স্পিড বোটে কুতুবদিয়া এসে সেখান থেকে রিকশায় করে বড়ঘোপ বাজারে যেতে পারবেন।
রামু রাবার বাগান :
কক্সবাজারের ১৮ কিলোমিটার আগে রামু উপজেলায় এই রাবার বাগানটি অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে মিনিবাস, সিএনজি, অটোরিকশা বা টমটমে এখানে যেতে পারবেন।
 

ছবি : প্রথম আলো
শামলাপুর সমুদ্র সৈকত :
বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বিচে এর অবস্থান। টেকনাফগামী বাসে এসে হোয়াংক্যং রোডে নেমে সিএনজি, অটোরিকশায় ধমধমিয়া হয়ে শামলাপুর সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাতে পারবেন।
হিমছড়ি :
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে অপূর্ব সুন্দর সৈকত এটি। খোলা জিপ, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি বাহনে হিমছড়ি যেতে পারবেন।
 ইনানী সমুদ্র সৈকত। ছবি : সংগৃহীত
ইনানী বিচ :
কোরাল পাথর ঘেরা খুবই সুন্দর সমুদ্র সৈকত এই ইনানী বিচ। কক্সবাজারের কলাতলি থেকে ইনানীর উদ্দেশ্যে মিনি বাস, জিপ, সিএনজি বা অটোরিকশা ছেড়ে যায়।
ছেড়াদ্বীপ :
সেন্টমার্টিনের প্রায় সাথেই অবস্থিত ছেড়াদ্বীপ থেকে অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এখানে যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে  যেতে হবে। এরপর সেন্টমার্টিন থেকে স্পিডবোট, লঞ্চ বা সাইকেলে ছেড়া দ্বীপে যেতে পারবেন।
শাহ-পরীর দ্বীপ :
টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে এই দ্বীপের অবস্থান। কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী বাস, মাইক্রো বা জীপে টেকনাফ এসে সেখান থেকে সিএনজিতে করে শাহ-পরীর দ্বীপের ফেরিঘাঁটে যেতে হবে। এরপর নৌকা বা ট্রলারে করে এই দ্বীপে যেতে পারবেন।
 মুগ্ধকর সেন্টমার্টিন।

 ছবি : সংগৃহীত
সেন্টমার্টিন দ্বীপ :
কক্সবাজার থেকে প্রথমে বাস কিংবা জিপ, মাইক্রো, প্রাইভেট গাড়িতে টেকনাফ যেয়ে এরপর সেখান থেকে শিপে করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেন। উল্লেখ্য টেকনাফ ঘাট থেকে নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ সাড়ে ৯টার মাঝে জাহাজ ছেড়ে যায়। অথবা চাইলে কক্সবাজার থেকেও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে করে সেন্টমার্টিনে যেতে পারেন। কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে সকাল ৭টায় জাহাজটি যাত্রা শুরু করে।
রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড :
কক্সবাজার শহর থেকে ইজি বাইক, সিএনজি বা অটোরিকশায় করে ঝাউতলায় যেতে হবে। পৌষী রেস্টুরেন্টের সামনের মোড় থেকে হাতের বামে গেলেই রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের দেখা পাবেন।
 কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ। ছবি : সংগৃহীত
মেরিন ড্রাইভ রোড :
কক্সবাজার শহর থেকে সিএনজি, জীপ কিংবা ছাদখোলা ক্যারাভানে করে মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।